স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে, ৪৮ দিনেও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং তার ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা রুজু হলেও এ মামলার মূল আসামি ধর্ষক সজল মিয়া (২৫) কে ধর্ষণের ঘটনার ৪৮ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।

অপরদিকে অভিযুক্ত সজল বিদেশে পাড়ি দিতে তার নামে পাসপোর্ট তৈরি করছেন বলে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার দাবি করেছেন।

তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মনজুর আহাম্মদ এ প্রতিবেদককে বলেন, এ মামলার অন্যতম আসামি সামসুল হক (২৪) নামে একজনকে অনেক আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণের চিত্র ভিডিও ধারণের পর তা ফেসবুকে ভাইরাল করে এই আসামি। বর্তমানে সে জেলহাজতে আছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এ মামলার মূল আসামি ধর্ষক সজল মিয়াকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। অভিযুক্ত সামসুল উপজেলার কালীকচ্ছ বিশুতারা গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে এবং সজল একই গ্রামের আওয়াল মিয়ার ছেলে।

মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১ আগস্ট রাত সাড় ১০টার দিকে অভিযুক্ত সজল ও সামসুল একই গ্রামের ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে এসে ডাক দেয় ও ঘরের দরজা খুলতে বলে। পিতা বাড়িতে নেই জানিয়ে দরজা খুলতেই স্কুলছাত্রীকে সজল জাপটে ধরে তার হাতে থাকা ছুরির ভয় দেখিয়ে ঘরের বিছানায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আর সঙ্গে থাকা সামসুল এই ধর্ষণের চিত্র ভিডিও ধারণ করে। পরে বাড়ির লোকজন এলে সামসুল পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ধর্ষক সজল আটক হয়। এ অবস্থায় বিষয়টিকে মানসম্মানের প্রশ্ন তুলে সজলের পরিবার ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।

পরবর্তীতে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা একজন দরিদ্র রিকশাচালক হওয়ার অপবাদ দিয়ে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে ধর্ষকের পরিবার। পরে বিয়ের ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি করলে অভিযুক্ত সজল ও সামসুল সেই ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ভাইরাল করে দেয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন